ভালোবাসার সম্পর্কে কাছাকাছি তো আসতেই হবে। আর এই পথে হাঁটা শুরু করা যায় চুম্বনের মাধ্যমে। তবে শুধু নিকটে আসা নয়, এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী চুমু। আসুন সেই বিষয়ে বিশদে জেনে রাখা যাক।

সম্পর্ককে বেঁধে রাখতে হবে। একে অপরের জীবনে ঢুকে পড়তে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে একটি মাত্র চুমু। সঙ্গীকে চুমু দিতে পারলেই বহু সমস্যা দূর করা যায়। তাই তো প্রেমের সপ্তাহে একটি দিন উৎসর্গ থাকে এর নামে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রেমের বন্ধনে একে অপরের জন্য সময় খরচ করতে হবে। এমনকী বন্ডিং বাড়িয়ে নেওয়া সবথেকে বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে নিজেদের বোঝাপড়া দৃঢ় হলেই অনায়াসে বহু জটিলতার সমাধান করা যায়। তবে এর বাইরেও কিছু জিনিস একটি সফল সম্পর্কে দরকার।

​প্রেম মানে যেমন মনের মিলন, ঠিক তেমন শরীরকে বাদ দিলে চলবে না। আপনি যত দ্রুত এই বিষয়টা মেনে নেবেন ততই সুবিধা হবে। আর যাঁরা অহেতুক বিষয়টিকে এড়িয়ে যান, তাঁরা নিজেদের জন্যই জটিলতা ডেকে আনেন।

তাই চিন্তাভাবনা আরও পরিণত করুন। মনে রাখবেন, ভ্যালেন্টাইন্স উইকে এই দিনটা থাকার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও যুক্তি রয়েছে। তাই আর হাওয়ায় হাওয়ায় কথা নয়, জেনে নেওয়া যাক কিস করার উপকার। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।

বোঝাপড়া বাড়ে

মনে রাখবেন, একে অপরের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতেই হবে। আর এই কাজটি অনায়াসে করা সম্ভব কিসের মাধ্যমে। চুম্বনের মধ্যে আছে এক জাদু। অনায়াসে এই জাদু সঙ্গীর জীবনে চালিত হয়। এমনকী বুঝতেও পারবেন না যে কখন নিজেদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে বোঝাপড়া। তাই চুম্বন করতে হবে। এর মাধ্যমেই আপনার সম্পর্কের প্রতি সুবিচার করতে পারবেন।

বিশ্বাস, ভরসাই শেষ কথা

মানুষ যাঁর-তাঁর সঙ্গে চুম্বন করতে যান না। বরং তাঁদের ভরসার কারও সঙ্গেই ঠোঁটে ঠোঁট লাগান। তাই আপনার সঙ্গী যদি চুম্বনে রাজি হন, তবে ধরে নিতে হবে যে তিনি আপনাকে খুবই ভালোবাসেন। এমনকী আপনাকে ছাড়া তিনি থাকতেও পারবেন না। ভরসার একটা জায়গা আপনাদের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের সম্পর্ক নিয়ে একবারে দুশ্চিন্তা করবেন না।

আরও কাছাকাছি

চুমু একটা নিষ্পাপ হাতিয়ার। এর মধ্যে ভালোবাসার পাশাপাশি কেয়ার করার একটা ইঙ্গিত থাকে। মনে রাখবেন, চুমুর মাধ্যমেই দু’টি মানুষ একে অপরের কাছে আসতে শুরু করেন। আর একটা সময়ের পর নিজেরা পরস্পরের নিকটে চলে যান। এভাবেই গাঢ় রং নিতে শুরু করে সম্পর্ক। তাই এই বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখুন। তবেই এর লাভ বুঝবেন।

নতুন কিছু

যাঁরা সম্পর্কে নতুন তাঁরা এই স্বাদটা পাবেন। তাঁদের কাছে এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতা বড়ই মধুর। তাই চুম্বনের পথে হাঁটতে পারেন। তবে কবিরা বলেন, প্রতিটি চুম্বনই নতুন। তাই যাঁরা অনেকদিন সম্পর্কে রয়েছেন বা বিবাহিত, তাঁরাও এই দিনটির কথা ভুলে যাবেন না। বরং আড়ম্বরের সঙ্গেই পালন করুন। নিজেরা খুব ভালো থাকবেন।

মন ভালো রাখে

এই প্রসঙ্গে ওয়েডমেড জানাচ্ছে, কিস করলে মস্তিষ্কে বের হয় অক্সিটোসিন, ডোপামাইন ও সেরোটোনিন হরমনো। আমাদের মন ও সম্পর্ক সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে এই হরমোন প্রয়োজন। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে। ঠিক তেমনই মনে জাগে পুলক। তাই আর অপেক্ষা নয়। বরং এই দিনে দুটি ঠোঁট পৌঁছে যাক একে অপরের কাছে।